নরেন্দ্রপুরে কোন ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয় না। যেটা দেওয়া হয়, সেটাকে বলে ভারতীয় সংস্কৃতি। আই সি বা ইন্ডিয়ান কালচার। যাতে ভারতীয় দর্শনের শিক্ষা দেওয়া হয়। ভারতীয় দর্শনের শিক্ষা না পেলে, এই ভারত বর্ষের ধারনাটাই অপূর্ন থেকে যায়। তাছারা দর্শন ব্যপারটাই এমন নিজের জীবনে কাজে না লাগালে, শুধু পড়ে, তার অস্তিত্ব দর্শন অসম্ভব।
ধর্মের বাজে দিক অনেক-সেটা নিয়ে বাঙালীদের মধ্যে আমার থেকে বেশী কেও গত দশ বছরে লেখে নি । কিন্ত ধর্মের পাঠের মধ্যে ইতিহাস এবং সমাজবিজ্ঞানের যে ধারা আমরা দেখতে পাই, সেটাকে অস্বীকার করা কঠিন।
নরেন্দ্রপুরে মহারাজদের কাছ থেকে যেটুকু দর্শন বা ধর্ম শিক্ষা পেয়েছি, সেই ব্যপারে আমি পজিটিভ। শুধু উনারা হিন্দু ধর্মকে বৈজ্ঞানিক বা বিজ্ঞান সম্মত বলে চালানোর চেষ্টা করতেন, যেটা সব ধর্মেই একটা অপপ্রচার। এবং বিজ্ঞানের দর্শন নিয়ে ভুল ধারনা থাকার কারনে, লোকে এই ধরনের ধর্ম মার্কেটিং করে।
এই একটা ব্যপার বাদ দিলে, ভারতীয় দর্শনের শিক্ষা যা পেয়েছি, আমার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য আজো খুব গুরুত্বপূর্ন। চারিদিকে এত লোক দেখি যাদের আত্মঅহঙ্কার, ডিগ্রির অহঙ্কার, বানানের অহঙ্কার, রূপের অহঙ্কার, চাকরির অহঙ্কার, বুদ্ধির অহঙ্কার, আদর্শবাদের জন্য চরমপন্থা-এসব দেখে আমার মনে হয় উপনিষদের শিক্ষা আজো সমান ভাবে উপযোগী। উপনিষদ গঙ্গা বলে চিন্ময় মিশন একটা সিরিয়াল করেছে। সবাইকে ওটা দেখতে অনুরোধ করি। কিছু না হলেও নিজেদের অহঙ্কার নামানো এবং নোংরামো করার প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। জীবনটা এত ক্ষুদ্র-এত ক্ষণস্থায়ী-কি ভাবে কাদা মেখে, নর্দমার জলে সাঁতার কেটে? এই অনন্ত মহাবিশ্বের এক ক্ষুদ্রতম গ্রহের ক্ষুদ্রতম প্রানীর ক্ষণিকের জীবন আমাদের। তার জন্য কেও যদি আই আইটির আর এম আই টির ডিগ্রী নিয়ে গর্ব করে-বা অনেক টাকা রোজকার করেছে বলে নিজেকে মহান মনে করে-বা অনেক জ্ঞান অর্জন করেছে বলে, জ্ঞানী মনে করে বা অন্যের জন্য অনেক কাজ করে বেড়ায় বলে, জাহির করে-এগুলো সবই হবে সেই অজ্ঞানতার পরিচয়।
যা কিছু সামাজিক বিবর্তনের জন্য, নির্বাচিত হয়েছে, যার মধ্যে ধর্ম আছে, তার থেকে অবশ্যই শেখার আছে। বুদ্ধ, মহাবীর, কনফুসিয়াস, প্লেটো, উপনিষদ, মহাভারত, কোরান, কার্ল মার্কস থেকে গুরু নানকের বানী-সর্বত্রই শেখার জন্য অনেক কিছু আছে। আমি নাস্তিক এবং ধর্ম বিরোধি লেখক হলেও- জীবনটা আমার কাছে একটা যাত্রা। এক অর্নিদিষ্ট লক্ষ্যের জন্য যাত্রা-যেখানে পাথেয় বলতে প্রতিটা মুহুর্তে শিখে যাওয়া। ধর্মগ্রন্থ, মানুষ, ভুল-ঠিক কাজ-প্রতিমুহুর্তেই আমরা শিখে চলেছি। ফাইনাল বলে কিছু নেই। শুধু প্রতিটা মুহুর্তে শিখে যাও। কতটুকুই বা আমরা জানি যে বলতে পারি আমার শেখার কিছু নেই? আমি তীব্র লেনিন এবং স্টালিন বিরোধি-কিন্ত তাদের জীবন অধ্যয়ন করেও অনেক কিছু শিখেছি। যা নেহাত কাজে আসবে না রাজনীতিতে না নামলে। কিন্ত শিখতে ক্ষতি কি? কোন কিছুই বর্জনীয় না।
ধর্মের বাজে দিক অনেক-সেটা নিয়ে বাঙালীদের মধ্যে আমার থেকে বেশী কেও গত দশ বছরে লেখে নি । কিন্ত ধর্মের পাঠের মধ্যে ইতিহাস এবং সমাজবিজ্ঞানের যে ধারা আমরা দেখতে পাই, সেটাকে অস্বীকার করা কঠিন।
নরেন্দ্রপুরে মহারাজদের কাছ থেকে যেটুকু দর্শন বা ধর্ম শিক্ষা পেয়েছি, সেই ব্যপারে আমি পজিটিভ। শুধু উনারা হিন্দু ধর্মকে বৈজ্ঞানিক বা বিজ্ঞান সম্মত বলে চালানোর চেষ্টা করতেন, যেটা সব ধর্মেই একটা অপপ্রচার। এবং বিজ্ঞানের দর্শন নিয়ে ভুল ধারনা থাকার কারনে, লোকে এই ধরনের ধর্ম মার্কেটিং করে।
এই একটা ব্যপার বাদ দিলে, ভারতীয় দর্শনের শিক্ষা যা পেয়েছি, আমার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য আজো খুব গুরুত্বপূর্ন। চারিদিকে এত লোক দেখি যাদের আত্মঅহঙ্কার, ডিগ্রির অহঙ্কার, বানানের অহঙ্কার, রূপের অহঙ্কার, চাকরির অহঙ্কার, বুদ্ধির অহঙ্কার, আদর্শবাদের জন্য চরমপন্থা-এসব দেখে আমার মনে হয় উপনিষদের শিক্ষা আজো সমান ভাবে উপযোগী। উপনিষদ গঙ্গা বলে চিন্ময় মিশন একটা সিরিয়াল করেছে। সবাইকে ওটা দেখতে অনুরোধ করি। কিছু না হলেও নিজেদের অহঙ্কার নামানো এবং নোংরামো করার প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। জীবনটা এত ক্ষুদ্র-এত ক্ষণস্থায়ী-কি ভাবে কাদা মেখে, নর্দমার জলে সাঁতার কেটে? এই অনন্ত মহাবিশ্বের এক ক্ষুদ্রতম গ্রহের ক্ষুদ্রতম প্রানীর ক্ষণিকের জীবন আমাদের। তার জন্য কেও যদি আই আইটির আর এম আই টির ডিগ্রী নিয়ে গর্ব করে-বা অনেক টাকা রোজকার করেছে বলে নিজেকে মহান মনে করে-বা অনেক জ্ঞান অর্জন করেছে বলে, জ্ঞানী মনে করে বা অন্যের জন্য অনেক কাজ করে বেড়ায় বলে, জাহির করে-এগুলো সবই হবে সেই অজ্ঞানতার পরিচয়।
যা কিছু সামাজিক বিবর্তনের জন্য, নির্বাচিত হয়েছে, যার মধ্যে ধর্ম আছে, তার থেকে অবশ্যই শেখার আছে। বুদ্ধ, মহাবীর, কনফুসিয়াস, প্লেটো, উপনিষদ, মহাভারত, কোরান, কার্ল মার্কস থেকে গুরু নানকের বানী-সর্বত্রই শেখার জন্য অনেক কিছু আছে। আমি নাস্তিক এবং ধর্ম বিরোধি লেখক হলেও- জীবনটা আমার কাছে একটা যাত্রা। এক অর্নিদিষ্ট লক্ষ্যের জন্য যাত্রা-যেখানে পাথেয় বলতে প্রতিটা মুহুর্তে শিখে যাওয়া। ধর্মগ্রন্থ, মানুষ, ভুল-ঠিক কাজ-প্রতিমুহুর্তেই আমরা শিখে চলেছি। ফাইনাল বলে কিছু নেই। শুধু প্রতিটা মুহুর্তে শিখে যাও। কতটুকুই বা আমরা জানি যে বলতে পারি আমার শেখার কিছু নেই? আমি তীব্র লেনিন এবং স্টালিন বিরোধি-কিন্ত তাদের জীবন অধ্যয়ন করেও অনেক কিছু শিখেছি। যা নেহাত কাজে আসবে না রাজনীতিতে না নামলে। কিন্ত শিখতে ক্ষতি কি? কোন কিছুই বর্জনীয় না।